অন্যান্য

পাল সাম্রাজ্যের যে ইতিহাস আপনার জানা প্রয়োজন

পাল শাসনের প্রতিষ্ঠা, প্রাচীন বাংলা অঞ্চলের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শশাঙ্কের পর প্রাচীন বাংলার শত বছরের রাজনৈতিক শূন্যতা ও অরাজকতাপূর্ণ মাৎস্যন্যায়’ যুগ পেরিয়ে জনজীবনে এক প্রকার স্বস্তি এনেছিল পালশাসন। পাল বংশ আট শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারের শাসনকারী রাজবংশ।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

৬৩৭ সালে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় একশত বছর ধরে ঘাের অরাজকতা, অনৈক্য, আত্মকলহ ও বহিঃশত্রুর ক্রমাগত আক্রমণ চলতে থাকে। এ সময় বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ দেখা দেয়। মৎস্য জগতে বড় মাছ যেমন ছােট মাছকে গিলে ফেলে তেমনি শক্তিশালী রাষ্ট্র বা অঞ্চল অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও ছােট রাষ্ট্রকে দখল করে ফেলায় যে অরাজকতার সৃষ্টি হয় তাকে। মাৎস্যন্যায় বলে।

এ মাৎস্যন্যায়ের কারণে সাধারণ মানুষের ব্যাবসা-বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা । দেয়। কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে বন্দরসমূহে সমস্ত বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সমৃদ্ধ অঞ্চল হওয়ার পরও সমগ্র গৌড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। পরিণামে সমস্ত সামগণ। আত্মরক্ষার জন্য শান্তির উপায় খুঁজতে শুরু করেন। তারা সম্মিলিতভাবে শশাঙ্কের রাজদরবারের।

একজন নিরীহ, ভদ্র ও বিনয়ী কর্মচারী গােপাল দেবকে ৭৫০ সালে গৌড়ের রাজা হিসেবে মনােনীত করেন। গােপাল দেব থেকেই পাল সাম্রাজ্যের সূত্রপাত হয়। গােপালের, পিতার নাম ছিল বপ্যট ও পিতামহ ছিলেন দায়িতবিষ্ণু। গােপাল সমগ্র বঙ্গদেশ নিজ শাসনাধীনে এনে বাংলায় রাজশক্তি সুপ্রতিষ্ঠিত। করতে সমর্থ হন। তিনি বাংলায় রাজনৈতিক অরাজকতা দূর করে স্থায়ী শান্তি বলবৎ করেন। রাজনৈতিক সংহতি পুনঃস্থাপন করে নিজ পুত্র ধর্মপালের সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্র প্রস্তুত। করেন। গােপালের মৃত্যুর পরে, তার পুত্র। ধর্মপাল সিংহাসনে আরােহণ করেন।

FACT FILE

  • সময়কাল : ৭৫০ সাল-১১৬২ সাল।
  • প্রতিষ্ঠাতা : গােপাল।
  • সরকার : রাজতন্ত্র
  • প্রথম সম্রাট : গােপাল।
  • শেষ ম্রাট : মদনপাল।
  • শ্রেষ্ঠ সম্রাট : ধর্মপাল।
  • রাজধানী : পাল সাম্রাজ্যের একাধিক রাজধানী ছিল যথা- পাটলিপুত্র, বিক্রমপুর, গৌড়, সােমপুর, রামাবতী, মহীপাল ইত্যাদি।

রাজাদের ক্রম

  • গােপাল
  • ধর্মপাল
  • দেবপাল
  • শূরপাল/মহেন্দ্রপাল/বিগ্রহপাল (প্রথম)
  • নারায়ণ পাল
  • রাজ্যপাল
  • গােপাল (দ্বিতীয়)
  • বিগ্রহপাল (দ্বিতীয়)
  • মহীপাল (প্রথম)
  • ন্যায়পাল
  • বিগ্রহপাল (তৃতীয়)
  • মহীপাল (দ্বিতীয়)
  • শূরপাল (দ্বিতীয়)
  • রামপাল
  • কুমারপাল
  • গােপাল (তৃতীয়) ও
  • মদনপাল।

ধর্মপাল

  • ধর্মপাল ছিলেন পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট
  • তিনি ছিলেন বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপােষক
  • বিক্রমশীলা মহাবিহার ও ৫০টি ধর্মশিক্ষার মঠ স্থাপন করেন
  • সােমপুর বিহারও তিনি স্থাপন করেন
  • ধর্মপালের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র
  • সম্রাট ধর্মপালের সময় পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাজ শুরু হয়
  • ধর্মপালের মৃত্যুর পর তার পুত্র দেব পাল ৮১০ সালে গৌড়ের সিংহাসনে আরােহণ করেন।

কৈবর্ত বিদ্রোহ ও রামপাল

কৈবর্ত বিদ্রোহকে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশ এমনকি ভারতবর্ষের প্রথম সফল জনবিদ্রোহ। কৈবর্ত বলতে, বাংলার চাষী কৃষক বা মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে বােঝানাে হয়। যদিও কৈবর্ত বিদ্রোহ শুধুই জনবিদ্রোহ ছিল না, বরং তাতে যুক্ত হয় তঙ্কালীন সামন্তদের একটি বড় অংশ। একে বরেন্দ্র বিদ্রোহ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এ সময় পাল বংশের রাজা ছিলেন দ্বিতীয় মহীপাল, ধারণা করা হয় তার রাজত্বকাল ১০৭৫-১০৮০ সালের মধ্যে। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন দিব্য।

তিনি প্রথমদিকে পালদের একজন রাজকর্মচারী কিংবা সামন্ত ছিলেন। তিনি কৈবর্তদের একত্রিত করে একটি শক্তিশালী বাহিনী তৈরি করেন। কৈবর্ত বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয় ধর্মীয় কারণকে। পাল রাজারা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। তারা তাদের অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী এবং জীব হত্যার বিরােধী ছিলেন। কৈবর্তরা জেলে হওয়ায় মাছ ধরাই ছিল প্রধান পেশা।

দ্বিতীয় মহীপালের সময় জীব হত্যার কথা তুলে তাদের এ পেশাকে নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত করা হয়। কিছুক্ষেত্রে নেমে আসে কঠোর শাস্তি । এসব কারণের পাশাপাশি মহীপাল তার রাজ্যের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও ব্যর্থ হন। এ সুযােগ কাজে লাগিয়ে বিদ্রোহের ডাক দেন দিব্য। কৈবর্তরা এতে সাড়া দেয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রাজ্যের বরেন্দ্র অংশ অধীনে আনতে সক্ষম হয়।

কৈবর্তরা নৌকা চালাতে পারদর্শী ছিল বলে তারা নৌযুদ্ধকেই প্রাধান্য দেয়। রাজা দ্বিতীয় মহীপাল যুদ্ধে নিহত হন। এর মধ্যে দিব্যর নেতৃত্বে বরেন্দ্রকে রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা হয়। রামপাল সিংহাসনে আরােহণের পর এ রাষ্ট্রের পতন হয় । কৈবৰ্তরা যেন আর কখনাে রুখে দাড়াতে না পারে সে জন্য তিনি কৈবর্ত নেতাদের কঠোর শাস্তি দেন। প্রাচীন বাংলাদেশের ইতিহাসে রামপাল একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। বরেন্দ্রভূমির পুনরুদ্ধার, বাংলার সর্বত্র নিজ প্রাধান্য স্থাপন, কামরূপ ও উল জয় এবং চালুক্য ও গাওড়বালদের আক্রমণ প্রতিরােধ তার জীবনের সর্বাধিক উল্লেখযােগ্য কৃতিত্ব।

ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ

পাল বংশ যে সময়ে বাংলা ও বিহারে তাদের অধিকার। প্রতিষ্ঠা করে সে সময়ে ভারতের মধ্যস্থলে তেমন। কোনাে প্রভাবশালী শক্তি ছিল না। আর্যাবর্তের কেন্দ্রস্থল। কনৌজে তখন রাজনৈতিক শূন্যতা বিরাজ করছিল। এই রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের জন্য অষ্টম শতাব্দীর শেষ ভাগ হতে প্রায় তিন পুরুষ ধরে পার্শ্ববর্তী শক্তি বর্গের মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহ ও প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। মালব ও রাজস্থানের গুর্জর ও প্রতিহার, দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট রাজাগণ এবং বাংলার পাল রাজাগণ প্রায় একই সময়ে মধ্যদেশে অধিকার বিস্তারে আগ্রহী হন। ফলে। এক ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এটিই ‘ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ’ নামে পরিচিত।

পাল-সাম্রাজ্যের পতন

অন্য অনেক রাজ বংশের মতাে পাল বংশের সূচনা ও শেষ হঠাৎ করে হয়নি। পাল বংশের শাসনের তিনটি পর্যায়। প্রথম মহীপালের পূর্বে পাল সাম্রাজ্যের অবনতি ও মহীপাল কর্তৃক পুনরুদ্ধার, দ্বিতীয় মহীপালের ঃ রাজত্বকালে সংঘঠিত সামন্তবিদ্রোহের ফলে বরেন্দ্র । অঞ্চলে পালদের ক্ষমতার অবসান এবং রামপাল কর্তৃক বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার ও পরবর্তীতে পাল সাম্রাজ্য। স্থায়ীভাবে ধ্বংস পাল বংশের প্রথম রাজা ছিলেন গােপাল। তার পরে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ধর্মপাল ও দেবপালের আমলে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এ রাজবংশ।

মূলত দেবপালের মৃত্যুর সঙ্গেই পাল সাম্রাজ্যের উত্থান যুগ শেষ হয়। স্বাধীন অন্যান্য রাজা এ সময় পালদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। মহীপাল (প্রথম) ক্ষমতায় এলে পাল বংশ আবার ঘুরে । দাঁড়ায়। তিনি বেদখল হয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা পুনর্দখল করেন এবং সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটান। পাল সাম্রাজ্যের শেষ প্রতাপশালী সম্রাট ছিলেন রামপাল। সাবিকভাবে পাল সাম্রাজ্য ধ্বংসের কারণগুলাে হলাে—

  • পাল সাম্রাজ্য ধ্বংসের প্রধান কারণ হলাে বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ দেখা দেওয়া ও বিদেশি শত্রুর আক্রমণ।
  • পাল রাজাদের সামরিক দুর্বলতার কারণে বিদ্রোহ দমন ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে না পারা।
  • গুটি কয়েক পাল রাজা ব্যতীত অন্যান্য রাজাদের শাসনকার্যে দুর্বলতা ও অযােগ্যতাই ছিল পাল সাম্রাজ্য পতনের অন্যতম কারণ।

পাল যুগের গৌরব

  • পালদের সামরিক কৃতিত্বের চাইতে অধিকতর প্রশংসনীয় কৃতিত্ব তাদের সাম্রাজ্যে বিরাজমান সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা। মাৎস্যন্যায়ের পর তারা রাষ্ট্রীয় চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছিল।
  • বাংলায় দীর্ঘ পাল শাসনের সবচেয়ে গৌরবােজ্জ্বল দিক ছিল তাদের প্রজাবৎসল নীতি। পাল রাজাগণ ছিলেন বৌদ্ধ, কিন্তু সম্ভবত প্রজাদের অধিকাংশ ছিল হিন্দু। কিন্তু পাল রাজাগণ রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ধর্মীয় সম্প্রীতি গ্রহণ করেছিলেন।
  • পাল রাজাদের কৃতিত্ব ভারতের সীমা অতিক্রম করে বিদেশিদের কাছে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। আরব পর্যটক সুলেমান পাল রাজাদের সুদক্ষ শাসন ও সামরিক প্রতিভার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
  • আয়ুর্বেদশাস্ত্র ‘চক্রদত্ত-প্রণেতা চক্রপাণি, রামচরিত গ্রন্থের রচয়িতা সন্ধ্যাকর নন্দী, চর্যাপদ’-রচয়িতা লুইপাদ ও কাহ্নপাদ প্রভৃতি সুপণ্ডিতরা পাল রাজসভা অলঙ্কৃত করেছিলেন।
  • এ যুগে ব্যাবসা-বাণিজ্যের দিক থেকেও বাংলাদেশ উন্নত ছিল। তাম্রলিপ্ত (আধুনিক তমলুক) ও সপ্তগ্রাম (হুগলী জেলা) সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল। পূর্ব-ভারতীয় দেশগুলি এবং নেপাল, ভুটান ও তিব্বতের সঙ্গে বাংলার বাণিজ্যিক আদান-প্রদান ছিল।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বা সােমপুর বিহার বা সােমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। এ ধ্বংসাবশেষটি বর্তমান বাংলাদেশের নওগাঁ জেলায় বৃহত্তর পালবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে এ বিহার তৈরি করেন। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এ বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়। পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চাকেন্দ্র। ছিল। শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মচর্চা ও ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি

  • বাংলার প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজ বংশের নাম— পাল বংশ। [বাংলাদেশ রেলওয়ে সহকারী কমান্ডেন্ট : ০৭]
  • যে বংশটি প্রায় চারশ বছরের মতাে শাসন করেছে- পাল বংশ। [১২তম শিক্ষক নিবন্ধন]
  • The first independent Buddhist dynasty of Bengal – Pala dynasty. [BGDC:2017] ।
  • বঙ্গে পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন— গােপাল। [CGDF : ১৪]
  • ‘কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল— দ্বিতীয় মহীপালের সময়। [দুদক’র উপ-সহকারী পরিচালক : ২০]
  • কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা ছিলেন- দিব্য [BREB’র সহকারী সচিব : ১৩]
  • পাল শাসনামলে রচিত একটি কাব্য হলাে— রামচরিতম। [জাবি : ১৩-১৪]
  • ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা হলাে— বৌদ্ধ পুঁথি। [ঢাবি : ১৬-১৭]
  • তালপাতার পুথিচিত্র যে যুগের নিদর্শন পাল যুগ। [রাবি : ১৬-১৭ ]।
  • পালযুগের পুঁথিচিত্র যে বস্তুর উপর আঁকা— তালপাতার উপর। [জাবি : ১৯-২০]
  • পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন ধর্মপাল বরেন্দ্র যে রাজাদের পিতৃভূমি— পাল রাজা। [জাবি : ১৫-১৬]
  • বাংলায় প্রথম বংশানুক্রমিক শাসন শুরু করেন— গােপাল।
  • চর্যাপদে আছে— বৌদ্ধধর্ম মতের কথা। [৪০তম বিসিএস]।
  • বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- ১৯০৭ সালে। [৩৪তম বিসিএস]
  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদ। [সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক : ২০১৯]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button